পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এর বিধায়ক সহ ৩৪ জন শুভেন্দু অধিকারীর পথে পা বাড়াচ্ছেন : সুত্রের খবর

16th December 2020 9:51 pm বর্ধমান
পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এর বিধায়ক সহ ৩৪ জন শুভেন্দু অধিকারীর পথে পা বাড়াচ্ছেন : সুত্রের খবর


নিজস্ব সংবাদদাতা ( পঃ বর্ধমান ) : বড়সড় ভাঙনের মুখে এবার পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার শাসক শিবির । শুভেন্দু অধিকারীর বিধায়ক পদে ইস্তফা দেওয়ার পরেই ভাঙন প্রকোট আকার ধারন করতে চলেছে বলে বিশেষ সুত্রের খবর । আগামীবছর রাজ‍্যে বিধানসভা নির্বাচন । তার প্রাক্কালে যখন সরকারী প্রকল্পগুলিকে নিয়ে দুয়ারে সরকার , ঠিক তখন ই দলের অন্দরমহলে ক্ষোভ বিস্ফোরন হচ্ছে একাধিক জায়গায় । দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতৃত্বদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ রাজনৈতিক মহলে নতুন সমীকরনের ইঙ্গিত দিচ্ছে । পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়ে বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ সুনীল মন্ডলের বাড়িতে বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে হাজির হন শুভেন্দু অধিকারী । সকাল থেকেই দাদার অনুগামীদের উৎসাহ ছিল তুঙ্গে গোটা এলাকায় । বিধায়ক পদে পদত‍্যাগের পরেই সুনীল মন্ডলের বাড়ি চত্ত্বরে আরো পোষ্টার ব‍্যানার লাগানো হয় । সন্ধ‍্যা নাগাদ শুভেন্দু অধিকারী এসে উপস্থিত হন সুনীল মন্ডলের বাড়িতে । বিকেল থেকেই পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার এক ঝাঁক নেতা হাজির হন । কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুন্ডু , পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস‍্য নুরুল হাসান , গুসকরার তৃণমূল নেতা নিত‍্যানন্দ চট্টোপাধ‍্যায় , আসানসোল পৌর সভার পৌর প্রশাসক জীতেন্দ্র তেওয়ারী , কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী , দুর্গাপুরের  ৪ নম্বরের বোরো চেয়ারম‍্যান চন্দ্রশেখর ব‍্যানার্জী সহ আরো বহু নেতা জড়ো হন । সুত্রের খবর , আগামী শনিবার মেদিনীপুরের জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী যোগ দেবেন বিজেপি শিবিরে । সেই দিন ই পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার একাধিক বিধায়ক সহ ৩০ জন যোগ দেবেন পদ্ম শিবিরে । চারজন সংখ‍্যালঘু শিবিরের নেতাও রয়েছেন বলে সুত্রের খবর । তালিকা তৈরীর কাজ শুরু হয়েছে । মেদিনীপুরের সভায় যোগ দেবেন উভয় বর্ধমানের সেই সব নেতৃত্ব । পরবর্তী সময়ে জেলায় জেলায় দলবদল ঘটবে বলে সুত্রের খবর । কারা কারা যাচ্ছেন তা নিয়েও কৌতুহল বাড়ছে । বেশ কিছু প্রাক্তন কাউন্সিলর রয়েছেন বলেও জানা গেছে । যদিও শুভেন্দু অধিকারী নিজে কোনো কথা বলেননি এদিন । তৃণমূল সাংসদ সুনীল মন্ডল জানান , আইপ‍্যাক এর কাজে তারা সন্তুষ্ট নন । যেভাবে দল এখন চলছে তা মানা যায় না বলে জানিয়েছেন তিনি । এখন দেখার কারা কারা দলবদলে নাম লেখাচ্ছেন । 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।